কিছু মানুষ এত নির্মম কেন


সংবাদপত্রে যখন মাঝে মাঝেই দেখি পিতা স্ত্রীর প্রতি রুব্ধ হয়ে নিজ শিশু সন্তানকে আছাড় মেরে পুকুরে ছুড়ে ফেলে, শ্বাসরোধ করে হত্যা করে- তখন স্তম্ভিত হই নিজ শিশুর প্রতি পিতার নির্দয়, নির্মম আচরণ দেখে। কয়দিন আগে, টিভিতে কয়েকটি মোবাইল শটে দুটি কুকুরের একটিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে, অন্যটিকে মাটিতে ফেলে ভারি লাঠি দিয়ে ভয়ঙ্করভাবে মারতে মারতে মেরেই ফেলেছে! এর আগে পথের মালিকহীন কুকুর মারার জন্য দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে কুকুরকে লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করে গুলি করে মারার এক সিদ্ধান্তে দেশজুড়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ হয়েছে।
পথের কুকুর, বিড়ালের প্রতি এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ করেছে অনেক প্রাণী সুরক্ষাকারী সংস্থা। তখন এ সিদ্ধান্ত থেকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পিছিয়ে আসে। সে সময় সিটি করপোরেশনের মেয়রকে নির্দয় হিসেবে তরুণ প্রজন্ম বিবেচনা করছে। অপরদিকে করোনাকালে দেখেছি, ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে তরুণ ছেলেমেয়েরা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী পথ কুকুরকে রান্না করা খাবার খাওয়াচ্ছে! দেখে মনটা তখন উৎফুল্ল হয়েছিল। তরুণ মনে দেশপ্রেম ও পশুপাখির প্রতি প্রেম তো এভাবেই গড়ে ওঠে। দরিদ্র মানুষের প্রতি দয়া থেকে প্রকৃতি, বৃক্ষ, পশু, পাখির প্রতি ভালোবাসা জন্ম নেয়। এটাও ঠিক যে, কোনো তরুণ-তরুণীকে শিশু, পশু, পাখির প্রতি নির্মম আচরণ করতে দেখা যায়নি।
বাংলাদেশে জনসংখ্যা বিশাল, যেটি বিদেশে অনেক কম। এই বিশাল জনসংখ্যার মধ্যে করোনাকাল থেকে কিশোরী বিবাহ ও শিশু জন্মের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে, আগামী পাঁচ বছরে প্রাথমিক শিক্ষায় প্রাথমিক স্তরের শিক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আগামী বিশ বছর পর চাকরিপ্রার্থী বা আয়-উপার্জনকারীর সংখ্যাও অনেক বৃদ্ধি পাবে। যখন একটি দেশে জনসংখ্যা বড় আকারের হয়, তাদের আয়-উন্নতির সুযোগ, জীবিকার সুযোগও সীমিত হয়। তখন সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষ-ঝগড়া-বিবাদ বেড়ে যায়।
এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে শিশুর ওপর সহিংসতা, যা পিতা, কখনো কখনো মাতাও সংসারের জ্বালা-যন্ত্রণা, খাদ্যাভাব, আয়-উপার্জনের অভাব এবং মাদকাসক্ত স্বামীর অস্বাভাবিক আচরণ, প্রধানত স্ত্রীর কাছে অন্যায় অর্থ দাবি, দৈহিক নির্যাতনÑ এসব কিছু থেকে কোনো কোনো তরুণী মা-শিশুদেরসহ আত্মহত্যা করে। জীবন যেসব নারী-শিশুর জন্য জ্বালা-যন্ত্রণায় পরিণত হয়, তাদের জন্য স্বেচ্ছামৃত্যু মুক্তির পথ হয়ে আসে। উপরন্তু, নিজের গর্ভের সন্তানদের এই জ্বালা-যন্ত্রণাময় পৃথিবীতে কার কাছে রেখে যাবেন, সে ভাবনা থেকে তাদেরকেও সঙ্গে নিয়ে যান। অবোধ শিশুরা কিছুই বোঝে না। মায়ের দেওয়া বিষ মেশানো খাবার খেয়ে চলে যায় অকালেই।
পুরুষদের মধ্যে এখনো স্ত্রী বিরোধী একটি আচরণ বলবৎ থাকায় এটি সংসার-পরিবার ও শিশু বিরোধিতা, নির্যাতন, হত্যার নামান্তর হয়ে উঠেছে! যে পরিবারে মা নির্যাতিতা থাকে, দাদি-চাচা-ফুফু-এমনকি শিশুর বাবার হাতেও মা নিয়মিত নির্যাতনের শিকার হয়, সে পরিবারে শিশুর মতো হতভাগ্য, দুর্ভাগা আর কেউ নয়। কারণ, সে প্রতিমুহূর্তে তার প্রিয় মাকে লাঞ্ছনা-গঞ্জনা-নির্যাতন সইতে দেখে, প্রায় কোনো রকম অপরাধ না করেই, সে শিশু মানসিকভাবে নিরাপত্তাহীনতা ও দুঃখবোধে ভোগে এবং অসুখী থাকে। খেলা বা স্কুলের পড়াশোনায় অনাগ্রহী থাকে। দেখা যায়, বাবা তার শৈশবকে ভুলে যায়।
ভুলে যায় যে, সে নিজের মায়ের কোল, মায়ের সান্নিধ্যে কত সুখবোধ করত! অথচ নিজ সন্তানকে তার মায়ের সান্নিধ্য থেকে ছিন্ন করে অধিকাংশ বাবা তার নিজ মা, অর্থাৎ শিশুর দাদির কাছে রাখে। যেহেতু তার নিজের পক্ষে বাড়িতে থাকা সম্ভব নয়। অদ্ভুত বিষয় এই যে, পিতা নিজ শিশুকে শিশুর মায়ের সান্নিধ্য থেকে বঞ্চিত রাখতে মোটেও চিন্তা করে না। এরা একবারের জন্যও শিশুর মনোবেদনা বুঝতে অপারগ। অথচ নিজে বিয়ে করে, সংসার করেও নিজের মাকেই সবচাইতে বেশি মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু করে রাখে কিছু ব্যতিক্রম বাদে।
এই ধরনের বাঙালি বাবাদের দেখা প্রায়ই পাই। মনে হয়, বিয়ে করার পরপরই স্ত্রী হয়ে যায় ‘অন্য বাড়ির মেয়ে’। প্রেম-ভালোবাসা-স্নেহ-মনোযোগ-হীন স্বামীর কাছে হয়ে পড়ে মূল্যহীন, মর্যাদাহীন। অথচ যে মেয়েটি বিয়ের আগে হবু বরের কাছে ছিল পরম কাক্সিক্ষত।
যে কোনো নারী মা হওয়ার পর তার গর্ভে বড় হওয়া সন্তানের প্রতি যে তীব্র বাৎসল্য বোধে বাঁধা পড়ে তারপর জন্ম থেকে বুকের দুধ খাইয়ে বড় করে, দৈনন্দিন আদর স্নেহ, দৈহিক যত্ন দিয়ে লালন করে যে বন্ধন তৈরি করে, সে যত্ন, স্নেহ-ভালোবাসার টান গভীর। স্বামী পরিত্যক্ত নারীরা পিতাহীন শিশুদের খাবার দিয়ে, আদর দিয়ে, পরের বাড়িতে কাজ করে, ভাঙ্গা ঘরে বা বস্তিতে অথবা ফুটপাথে নিজে না খেয়ে বড় করে তোলে। এ অতুলনীয় ও অসামান্য ধৈর্য, যত্ন, ভালোবাসা শিশুকে কোনো বাবার পক্ষে প্রদান করা সম্ভব নয়। সে জন্য শিশুর সার্বিক মঙ্গলকে লক্ষ্য করে বাবাদের উচিত শিশুদের মাকে শান্তিতে থাকতে দেওয়া এবং পরিবারকে সংঘাতহীন-শান্তিপূর্ণ রেখে শিশুর সার্বিক মঙ্গল সুনিশ্চিত করা।
বর্তমানে এক জাপানি নারীকে তার বাঙালি স্বামীর কাছ থেকে কন্যার কাস্টডি চাইতে দেখা যাচ্ছে। প্রাক্তন স্বামী, কন্যাদের বাঙালি পিতার সঙ্গে আইনি লড়াই করতে হচ্ছে জাপানি মাকে। হাইকোর্ট সঠিকভাবে শিশুদের সার্বিক মঙ্গলের বিষয়টিকে যাকে, ‘Best interest of the Child’ বলা হয়, এটি উল্লেখ করে মায়ের কাছে উন্নত দেশ জাপানে তাদের সর্বোচ্চ মঙ্গল হবে বলে মাকে কন্যাদের কাস্টডি দিয়েছে। এই মামলার রায়টিকে শিশুদের জন্য যথার্থ রায় বলে মনে করি। জানা কথা যে, কন্যারা বয়ঃপ্রাপ্ত হলে তাদের নিজস্ব বাবার জন্য মনের টান থেকেই তারা একদিন বাবার কাছে আসবে।
আরও জানা কথা, বাবাকে কর্মসূত্রে বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। স্বভাবতই কন্যাকে দেখাশোনা করার জন্য, স্কুলে আনা-নেওয়া করার জন্য বাবাকে অন্য আত্মীয়ের ওপর নির্ভর করতে হবে। তাহলে তাদের দেখাশোনা, বড় করার কাজটি তাদের নিজের মাকে দেওয়া হবে না কোন যুক্তিতে? তারা এই কিশোরী বয়সে মায়ের কাছে যতটা নিরাপত্তা ও যত্ন-মনোযোগ পাবে, সেটি অন্য যে কোনো আত্মীয় এবং বাবার চাইতে অনেক বেশি হবেÑ এটি ঐ কন্যাদের পিতাকেও বুঝতে হবে।
তিনি এটি যত তাড়াতাড়ি বুঝবেন, তত তাড়াতাড়ি কন্যাদের মঙ্গলের জন্য অহেতুক মামলা- মোকদ্দমায় সময় ক্ষেপণ না করে মায়ের কাছে মায়ের গর্ভের কন্যাদের লালন-পালনের ভার দেবেনÑ এটা প্রত্যাশা করি। একটা কথা স্মরণ রাখতে হবে- নিজ কন্যার দায়িত্ব সর্বোচ্চ মানে সম্পন্ন করতে পারেন শিশুদের মা, অন্য যে কোনো আত্মীয়ের চাইতে সে যত্ন হবে সর্বাধিক উপযুক্ত।
প্রাণীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, এই অস্বাভাবিক ঠান্ডায় উত্তরবঙ্গে পোষা গরু-ছাগলকে ছালা বা বস্তা দিয়ে ঠান্ডা থেকে কিছুটা রক্ষা করার চেষ্টা করে। বর্তমানে মধ্য, দক্ষিণবঙ্গেও গরু-ছাগলের মালিকদের ছালা, বস্তা দিয়ে তাদের শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা যায়। আজকাল পোষা কুকুরকেও শীতের জামা পরাতে দেখছি। পোষা কুকুর-বেড়াল আদর-যত্ন, খাবার, চিকিৎসা পায়। কিন্তু মালিকহীন পথের কুকুর-বেড়ালদের খাবারের জন্য হোটেল-দোকানদারদের মায়া-দয়ার ওপর নির্ভর করতে হয়।
অনেক সময় পথে অসুস্থ কুকুর দেখে মনে মনে ভাবি, এদেরও তো চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার আছে। এমন যদি হতো, সিটি করপোরেশন দরিদ্র মানুষ, শিশু, পথের কুকুর-বেড়ালের চিকিৎসার ব্যবস্থা করত। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় বন্দি পশু-পাখিদের বন্দিত্ব থেকে মুক্তি দিয়ে উন্মুক্ত সাফারি তৈরি করার দাবিতে অনেক পশু-পাখি প্রেমী সংগঠন ও তরুণ-তরুণী রাজপথে দাঁড়াচ্ছে। এটি একটি মানবিক সমাজ হয়ে ওঠার উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত হিসেবে আমাদের চমৎকৃত করেছে। বিশেষত, দুর্বৃত্ত, অর্থলোভী, পণ্যের মূল্যে কারসাজি করা স্বার্থপর বণিকদের, অন্য লুটেরা পেশাজীবীদের রমরমার মধ্যে এসব ছোট ছোট মানবিক উদ্যোগ আশা হারিয়ে ফেলা মানুষকে আবার আশান্বিত করে।
কখনো কখনো শুনি, কোনো জেলায় যেখানে বানরের বসবাস বেশি, সেখানে বানরেরা খাবার না পেয়ে মানুষের ঘরে, রান্নাঘর থেকে খাবার নিয়ে খাচ্ছে। সেজন্য সংসারী মানুষ বিরক্ত হচ্ছে। তাদের হাতে মারাও পড়ছে সেসব বানর। তখন মনে হয়, ওদের জন্য বনে-জঙ্গলে ফলের গাছের অভাব রয়েছে সম্ভবত। প্রতি গ্রামে শিশুর সংখ্যা বেড়েছে, যারা আশপাশের ফলমূল, শাকপাতা সংগ্রহ করে নিজেদের পরিবারের ক্ষুধা মেটায়। বনে-জঙ্গলে শুধু বানর নয়, আছে নানা রকম পাখি, কাক, চিল, শকুন, কাঠবিড়ালী, খরগোশ, ছোট প্রাণী।
তাদের জন্য বন যদি পর্যাপ্ত খাবার সরবরাহ ও মজুদ রাখতে না পারে, তাহলে তো বানর ছাড়াও অন্য পশু, পাখি, খাদ্যাভাবে মারা পড়বে। রাস্তার পাশে, হাইওয়ের পাশে বনবিভাগের উচিত নানারকম ফলের গাছের পাশে বড় বড় কাঠের গাছও লাগানো। অনেক দীর্ঘ পথে দেখা যায় সারিবাঁধা একই রকম গাছ। এটি আরও সুন্দর হয়, পেছনের সারিতে উঁচু আম-কাঁঠাল ইত্যাদি নানারকম ফলের গাছ থাকবে। এগুলোর সামনের সারিতে ছোট গাছ, বন্য ফল-ফুলের ঝোঁপঝাড় থাকলে দেখতে যেমন ভালো হবে, তেমনি পশু-পাখি, মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ফল-ফলাদি এই গাছগুলো সরবরাহ করবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের উপকূল ভেঙ্গে মানুষ, পশু, পাখি ঘর-বাড়ি হারাচ্ছে। আবার সমুদ্রে, নদীতে চর পড়ে নতুন জমি উঠছে। এই নতুন চরে নানারকম গাছ লাগিয়ে মাটিকে শক্ত করার কাজ করছে নিশ্চয় বন অধিদপ্তর। পলি থেকে মাটি হলে সে মাটিতে সবরকম ফল-ফসলের গাছ লাগানো সম্ভব। এভাবে নতুন জমি আবাদ হয়। মানুষ, পশু-পাখি, মাছ, পোকামাকড় সহাবস্থান করে। অবশ্য এতে মানুষরূপী সংহারক-দানব ভূমি দখল, ইটভাঁটি করা, নদী-খাল দখল করে বসত তৈরি, জঞ্জাল ফেলে মাটি-পানি দূষিত করা ইত্যাদির দ্বারা মানুষ প্রকৃতি, প্রাণী জগৎ- সবার সমূহ ক্ষতি করে চলেছে।
বাঙালিকে মানবিক হতে হবে। শিশুর প্রতি যেমন মানবিক ও সংবেদনশীল হতে হবে, তেমনি প্রকৃতি, নদ-নদী, খাল-বিলের পানিকে দূষণমুক্ত রেখে মাছসহ জলজ প্রাণ, উদ্ভিদকে রক্ষা করতে হবে। রক্ষা করতে হবে পশু, পাখি, কীট-পতঙ্গ, মাটিকেও। শেষ পর্যন্ত সবাইকে ভালো রেখে তবেই নিজেদের ভালো থাকা সম্ভব। বর্তমানে আগ্রাসী মানুষ পৃথিবীকে বিনষ্ট করে এর চরম ফল ভোগ করছে। হয়ত এখনো কিছুটা সময় মানুষের হাতে আছে প্রকৃতিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণের।
তাহলে পৃথিবী ও এর প্রকৃতি পুনর্জন্ম নিতে পারে। অবশ্য বিশ্বনেতারা কতটা করতে সম্মত হবেন এবং কতটা প্রকৃতি সুরক্ষার কাজ করা তাদের নেতৃত্বে সম্ভব হবে তা আগামী সময়ই কেবল বলতে পারবে। আমাদের সচেতন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার প্রকৃতিপ্রেমী ও মানবিক মানুষ। সে কারণে আমাদের দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অনেক দেশের চাইতে বেশিই ক্ষতি করছে সরকার ও কৃষি-প্রকৃতিপ্রেমী সাধারণ মানুষ। ’৭১-এ যেমন সাধারণ মানুষই মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়ে প্রাণ উৎসর্গ করে স্বাধীন বাংলাদেশ এনেছে, এখনো সাধারণ মানুষই গাছ, পশু, পাখি, পানি, খেত, নদী, খাল, ভূমি রক্ষা করছে। লোভী, প্রতারক, দখলবাজরা, দেশের অর্থ বিদেশে পাচারকারী, মানব পাচারকারীরা আমাদের বর্তমানের দেশদ্রোহী রাজাকারের ভূমিকাই পালন করছে যেন।
লেখক : শিক্ষাবিদ