কুষ্টিয়ার চাঞ্চল্যকর সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত ইমরান শেখ ইমন (৩২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার দিবাগত রাতে শহরের রাজারহাট মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।
সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেল হত্যার মাষ্টার মাইন্ডের খোঁজে অভিযানে রয়েছে র্যাব পুলিশ।
২২জুলাই;২২,শুক্রবার বিকেলে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপাার খাইরুল আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন,দৈনিক কুষ্টিয়া খবরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও আমাদের নতুন সময় পত্রিকার কুষ্টিয়া প্রতিনিধি হাসিবুর রহমান রুবেল খুন হয়েছেন ব্যক্তিগত কারণে।
এই হত্যাকান্ডের সাথে সংবাদ সংক্রান্ত কোন যোগসূত্রতা নেই। রুবেল নিঁখোজ হওয়ার পর থেকে আসামীদের খুজছে র্যাব ও পুলিশ।
যেহেতু নিহত রুবেল সাংবাদিক সেহেতু র্যাব হেড কোয়ার্টার, পুলিশের কাউন্টার টেরিজম ইউনিট কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ দিনরাত পরিশ্রম করে আসামীদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেফতারকৃত কুষ্টিয়ার শহরের কোর্টপাড়া স্যার ইকবাল রোডের সামুর পুত্র ইমরান শেখ ইমন এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত।
নিহত রুবেল নিখোঁজ হওয়ার সময় থেকে তার মোবাইল বন্ধ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত একই লোকেশনে ছিলেন হত্যকারী ইমন। এর পেছনে কি কারণ রয়েছে এবং তাকে হত্যা করা হয়েছে পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত হলেও তদন্তের স্বার্থে পুলিশ বিষয়টি জানায়নি।
উল্লেখ্য সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রুবেল গত ৩ জুলাই নিখোঁজ হন এবং ৭ জুলাই কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানা এলাকার নির্মানাধীন যদুবয়রা সেতু থেকে রুবেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ৮ জুলাই রুবেলের দাফন শেষে কুষ্টিয়ার সর্বসন্তুরের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আন্দোলন শুরু করে।
আন্দোলনের তোপের মুখে পড়েন কুষ্টিয়ার পুলিশ ও র্যাব। কুষ্টিয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ সাংবাদিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। এরপর তিনি র্যাব ও পুলিশকে ৭ দিনের সময় বেধে দেন। ২ দিনের মাথায় র্যাব সোহান ও জুয়েলকে আটক করে। সর্বশেষ হত্যাকারী ইমরান শেখ ইমনকে গতকাল সন্ধায় রাজার হাট থেকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, সকল আসামী এবং মাষ্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করা হবে। পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলার তদন্ত করছে।