তৃতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন (নাসিক)আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সারাদেশে আলোচিত এই সিটি নির্বাচনে ৫ লাখ ১৭ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এছাড়াও টাঙ্গাইল-৭ আসনের (মির্জাপুর) উপ-নির্বাচন ও পাঁচটি পৌরসভার ভোটগ্রহণও আজ অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি জানায়, নির্বাচনী উপকরণ কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছানো হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মাঠে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।
ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কমিশন থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা হয়েছে বলেও জানায় ইসি।
এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে মোট ভোটারের মধ্যে নারী ও পুরুষ ভোটারের সংখ্যা প্রায় সমান। পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১১ জন এবং হিজরা ৪ জন। ২০১৬ সালের নাসিক নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। সে অনুযায়ী নতুন ভোটার ৪২ হাজার ৯৩০ জন।
এছাড়াও মেয়র, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর এবং ২৭টি ওয়ার্ডের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৮৯ জন। তাদের মধ্যে মেয়র পদে ৭ জন, কাউন্সিলর পদে ১৪৫ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ৩৪ জন। মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে ৫ জন দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন, বাকি দুইজন স্বতন্ত্র। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী, ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী মাওলানা মাসুম বিল্লাহ (হাতপাখা), খেলাফত মজলিশের প্রার্থী এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী জসিম উদ্দিন (বটগাছ), কল্যাণ পার্টির প্রার্থী রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম বাবু (ঘোড়া) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড. তৈমুর আলম খন্দকার (হাতি)।
ভোটের মাঠের তথ্যমতে, প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগের ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকারের মধ্যে লড়াই হবে। এছাড়া ২৭টি ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটিতে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বর্তমান কাউন্সিলররাই জেতার পথে রয়েছেন। তবে কয়েকটি ওয়ার্ডে দুই বা ততোধিক প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে।