ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ থেকে ৩৮ ঘণ্টা পর রিঙ্কুকে জীবিত উদ্ধার
তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন নিখোঁজ বাংলাদেশি গোলাম সাঈদ রিঙ্কু। ৩৮ ঘণ্টা পর তাকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
Advertisement
ইস্তাম্বুলে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নূরে আলম মঙ্গলবার রাতে টেলিফোনে যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কনসাল জেনারেল জানান, উদ্ধারকারী দলকে দুপুরের দিকে আমরা গোলাম সাঈদ রিঙ্কুর আটকে পড়ার কথা জানাই। উদ্ধারকারী দল দুপুরেই অভিযান শুরু করে। সন্ধ্যা নাগাদ তাকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে সোমবার রাতে তুরস্ক থেকে বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রদূত শাহনাজ গাজী যুগান্তরকে জানিয়েছিলেন, তুরস্কে ভূমিকম্পে গোলাম সাঈদ রিঙ্কু নামে একজন বাংলাদেশি নিখোঁজ হয়েছেন। তিনি জানান, সিরিয়া সীমান্তে কাহারা মানমারাস নামে একটি অঞ্চলে দুজন প্রবাসী বাংলাদেশি একটি ভবনে ছিলেন। ওই সময় ভূমিকম্পে ভবনটি ধসে পড়লে রিঙ্কু নিখোঁজ হন।
তার সহযোগী কোনোমতে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। তবে তিনিও বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। বাংলাদেশ দূতাবাস বেরিয়ে আসা ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছে।
তবে ওই অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ না থাকায় তার মোবাইল ফোনের চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ায় কথা বলতে পারছেন না।
শাহনাজ গাজী আরও জানান, গাজী আস্তেব নামে আরেকটি ভূমিকম্প অঞ্চল থেকে ৩০/৩৫ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপ শহরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পের পর আরও অন্তত ৭৭টি আফটারশক (পরাঘাত) অনুভূত হয়, যার মধ্যে তিনটি ছিল রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার বেশি। আবার একটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫।
ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পে তুরস্ক ও প্রতিবেশী সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মঙ্গলবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই দেশে মোট ৫ হাজার ২১ জন মারা গেছেন। নিহততের সংখ্যা ১০ হাজার ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।